Monday 3 December 2012

Mujaddid e Azam Mamduh Hazrat Murshid 'Qibla Alaihis Salam - His 'Qawl Shareef


মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা আমার নিকট দোয়া করো, হে আমাদের রব! আমাদের ইলম বৃদ্ধি করে দিন।’
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, ‘তোমরা দোলনা থেকে কবর পর্যন্ত অর্থাৎ জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ইলম তালাশ করো।’
যার ফলে একজন মুসলমানের জন্মের পর তা’যীন-তাহনীক্ব অর্থাৎ কানে আযান- ইক্বামত ও মুখে মধু দিতে হয় অর্থাৎ আযান ইক্বামত দিয়ে দ্বীনি তা’লীম শুরু করা হয় আর মধুপান করিয়ে পবিত্র সুন্নত মুবারক আমল শুরু করা হয়।
তাই ৯৭ ভাগ মুসলমান ও রাষ্ট্র দ্বীন ইসলাম উনার দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশের শিক্ষানীতিতে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও প্রথম শিক্ষা হিসেবে রাখতে হবে।

এটাই পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ উনাদের নির্দেশ। মুসলমান উনারা এর বিপরীত শিক্ষানীতি গ্রহণ করতে পারে না।
 মুজাদ্দিদে আ’যম, ইমাম রাজারবাগ শরীফ উনার মামদূহ হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা আলাইহিস সালাম তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হুযূর পাক ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর জন্য ইলম অর্জন করা ফরয।” (বায়হাক্বী শরীফ, মিশকাত
শরীফ, মিরকাত শরীফ) এ ইলম হলো দু’প্রকার। যেটা অন্য পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে বর্ণিত হয়েছে, “ইলম দু’প্রকার- (১) ক্বলবী ইলম অর্থাৎ ইলমে তাসাউফ যা উপকারী ইলম। (২) লিসানী ইলম অর্থাৎ ইলমে ফিক্বাহ, যা বনী আদম উনাদের জন্য মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ হতে দলীল স্বরূপ।” (দারেমী শরীফ, তারগীব শরীফ, তারীখ শরীফ, মিশকাত শরীফ)

এ পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার ব্যাখ্যায় হযরত মোল্লা আলী ক্বারী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ‘মিশকাত শরীফ’ উনার বিখ্যাত শরাহ ‘মিরকাত শরীফ’ উনার মধ্যে উল্লেখ করেন যে, মালিকী মাযহাবের ইমাম হযরত ইমাম মালিক রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “যে ব্যক্তি ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো, কিন্তু ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করলো না, সে ফাসিক। আর যে ব্যক্তি ইলমে তাসাউফ শিক্ষা করলো কিন্তু ইলমে ফিক্বাহ শিক্ষা করলো না, সে যিন্দিক (কাফির)। আর যে ব্যক্তি উভয়টি শিক্ষা করলো, সে মুহাক্কিক তথা হক্কানী আলেম।” অর্থাৎ যে ইলমে ফিক্বাহ শিখলো, কিন্তু ইলমে তাসাউফ শিখলোনা, সে হচ্ছে ফাসিক। আর যে বলে আমি মা’রিফাত করি বা ইলমে তাসাউফ করি কিন্তু শরীয়ত বা ফিক্বাহ স্বীকার করেনা, সে হচ্ছে যিন্দীক। আর যিনি উভয়টাই শিক্ষা করলেন, তিনি হচ্ছেন মুহাক্কিক অর্থাৎ হাক্বীক্বী আলিম। 

2 comments: