shobuj bangla blog

বহুদিন যাবত মুসলিম অধ্যূষিত ফিলিস্তিনে ধারাবাহিক গণহত্যা চালাচ্ছে সন্ত্রাসী ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল। সর্বশেষ গত নভেম্বর মাস থেকে তারা আরো একধাপ এগিয়ে মুসলিম নিধন অভিযানে নেমেছে। নৃশংস এই গণহত্যা সবার চোখের সামনে ঘটলেও, এর বিরুদ্ধে বলার মত যেন কেউ নেই! বিশেষ করে বিশ্বের সাধারন মুসলিম জনতা যাদেরকে হর্তাকর্তা ভাবে, সেই সউদী ওয়াহাবী সরকার সর্বদাই এই মুসলিম গণহত্যার সময় বোবা শয়তানের মত নিশ্চুপ থাকে। তাদের মৌনতাই যেন আরো জোড়ালো সম্মতি  দেয় সন্ত্রাসী ইহুদীদের নির্বিঘেœ মুসলিম গণহত্যা চালাতে। নাউযুবিল্লাহ! অথচ এই সউদী আরব যদি সন্ত্রাসী ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের বিরুদ্ধে সকল মুসলমানদের এক হয়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলত তবে নিমিষেই তা সম্ভব ছিল। সম্ভব ছিল মুসলিম নির্যাতনকারী সন্ত্রাসী ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয় কাফিরদের সমুচিত জবাব দেয়া।
কিন্তু কেন সউদী আরব তথা সৌদী ওয়াহাবী বাদশাহদের এই কুৎসিত মৌনতা? তাদের শাসকদের আসনেই কে বা কারা বসে রয়েছে? ইহুদীবাদী সন্ত্রাসীদের সাথে তাদের কেনই বা এত সখ্যতা? আর কেনই বা তারা ইহুদীদের বিরুদ্ধে কিছু বলে না? প্রতিবাদ করে না ফিলিস্তিনে মুসলিম গণহত্যার? এই প্রশ্নগুলোর জবাব বহু পূর্বেই দিয়েছিলেন ঢাকা রাজারবাগ শরীফ হতে জামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, মুজাদ্দিদে আযম,আওলাদে রসূল সাইয়্যিদুনা আস সাফফাহ আলাইহিস সালাম। তিনি বহুবার ইরশাদ মুবারক করেছিলেন- ‘বর্তমান সউদী ওয়াহাবী শাসকগোষ্ঠিী হলো কাট্টা লানতপ্রাপ্ত ইয়াহুদীদের বংশধর!”
সুবহানাল্লাহ! উনার সেই মুবারক ভবিষ্যৎবানী অক্ষরে অক্ষরে দিবালোকের ন্যায় প্রকাশিত হচ্ছে বারেবার। অথচ, বিভিন্ন মহল হতে এ বিষয়ে চু-চেরা কিল-কাল করে বলা হয়েছিলো, কি করে সম্ভব! খাদেমুল হারামাইন শরীফাইন টাইটেল ধারনকারী সউদী ওয়াহাবী বাদশাহদের সাথে সন্ত্রাসী ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয়দের গোপন সখ্যতা ও মিত্রতা এবং বংশগত একতা? জ্বি হ্যা নি¤েœর তথ্য উপাত্তগুলোই সন্ত্রাসী ইহুদীদের অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের নিকৃষ্ট দালাল হিসেবে সউদী ওয়াহাবী বাদশাহদের গোমঁর ফাঁস করেছে।

সউদ বংশের উৎপত্তি ও পরিচয় প্রসঙ্গে:-
ইতিহাসবিদগণ বর্ণনা করেছে, বর্তমানের সউদী ওয়াহাবী শাসক গোষ্ঠীর আবির্ভাব ‘আনজা গোত্র’ থেকে যারা ১৪৫০ সালে নজদ প্রদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। অধিকাংশ ইতিহাসবিদগণের মতে, সউদী ওয়াহাবী শাসকগোষ্ঠির  সেই পূর্বপুরুষের উৎপত্তি ছিলো গজবপ্রাপ্ত ইহুদীদের থেকে।
এদের পূর্বপুরুষ যে ইহুদী ধর্মীয় ছিল তা নিশ্চিত করে সউদী বাদশাহ ফয়সাল (শাসনকাল ১৯৬৪-৭৫) ওয়াশিংটন পোস্টের সাথে (১৭ই সেপ্টেম্বর, ১৯৬৯) এক সাক্ষাতকারে বলেছে, “আমরা সউদ পরিবার হচ্ছি ইহুদীদের চাচাতো ভাই। আর তাই আমরা যে কোন আরব বা মুসলিম শাসকদের সাথে সম্পূর্ণরূপে ভিন্নমত পোষন করব ইহুদীদের সাথে কোনরূপ শত্রুতার ব্যাপারে। আমরা চাই তাদের সাথে শান্তিতে বসবাস করতে।” নাউযুবিল্লাহ!
যার কারণে দেখা যায়, ক্ষমতাসীন সউদ পরিবার ইসরাইলি ও আমেরিকার ভাড়াটে সৈন্য নামক সন্ত্রাসীদেরকেই তাদের একান্ত দেহরক্ষী হিসেবে বেশি পছন্দ করে। পাশাপাশি এই ইহুদী সম্পৃক্ততার কারণেই তারা ছড়িয়ে দিচ্ছে দ্বীন ইসলাম উনার বিরোধী বাতিল আক্বীদা ও আমল তথা ওয়াহাবী মতবাদকে, ক্ষতি করছে মুসলিম উম্মাহর  সত্যিকারের আক্বিদা, আমল ও ইসলামী ঐহিত্যকে।

ইহুদীদের সাথে গোপন চুক্তি ও মুসলিম ভূমি বিক্রি:-
ইহুদীবাদী সন্ত্রাসী ইসরাইলিদের দ্বারা ফিলিস্তিনে অবলিলায় একের পর এক মুসলিম গণহত্যা চললেও সউদী শাসকগণ যে এর বিরুদ্ধে টু শব্দটি পযন্ত করে না তার মূল কারণ হলো মুসলিম বিশ্বে ব্যাপক সমালোচিত ‘ইহুদীদের সাথে গোপন চুক্তি’। এই চুক্তি অনুসারে মাত্র ২০ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে ফিলিস্তিনের পবিত্র ভূমি ইহুদীদের কাছে বিক্রি করে দেয় সউদী ওয়াহাবী বিশ্বাসঘাতকরা। উল্লেখ্য, সউদী ওয়াহাবী বাদশাহ’র নিজ হস্তে স্বাক্ষরকৃত ঐ চুক্তির দলিলের একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ গতবছর মিডিয়ায় প্রকাশ হয়ে যায়, যা তোলপাড় সৃষ্টি করে সমগ্র বিশ্বে।  (বিষয়টি নিয়ে প্রেসটিভি অনলাইন রিপোর্ট করে ২রা নভেম্বর, ২০১১) ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি কঠিনভাবে সেন্সর করে নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়। কিন্ত অতি সম্প্রতি সেটি অনেক মুসলিম ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং গনমাধ্যমের নিকট হস্তগত হয়। এই লিখিত চুক্তিতে ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী ইহুদীদের নির্বিঘœ প্রবেশ ঘটাতে এবং ক্ষমতা খাটাতে সেই সময়কার কথিত সুপার পাওয়ার ব্রিটেনের সাথে সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ও সেই সময়কার ওয়াহাবী শাসক আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল’র মধ্যে গোপন সমঝোতা হয়।

গোপন কালো চুক্তির স্ক্যান কপি:- আরবীতে লিখিত সউদী রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল এর নিজ হস্তে স্বাক্ষরকৃত সেই অঙ্গীকারনামা
সহজ বাংলা অনুবার্দ: “আমি সুলতান আব্দুল আজিজ বিন আব্দুল রহমান আল সাউদ আল-ফয়সাল - আমি গ্রেট ব্রিটেনের ডেলিগেট স্যার পার্সি কক্সের কাছে হাজার বার মেনে নিলাম ও অঙ্গিকার করলাম যে, গরীব ইহুদী এমনকি অইহুদীদের (মুশরিক খ্রিষ্টান সমজাতিদের) কাছেও প্যালেস্টাইন হস্তান্তরে আমার কোন বিরোধিতা নেই এবং আমি কখনও তাঁদের (ব্রিটেনের) আদেশ অমান্য করব না।” নাউযুবিল্লাহ!
এই কালো চুক্তির কারণেই শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে ইহুদীদের দখলদারিত্ব ও নৃশংস গণহত্যায় কোন প্রকার বাধা দেয়নি ক্ষমতাসীন ওয়াহবী সউদ পরিবারের শাসকরা। ১৯৪৮ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধে লোক দেখানোর জন্য সামান্য সৈন্য পাঠালেও ১৯৬৭ ও ১৯৭৩ সালের যুদ্ধে আরবদের পক্ষে কোন প্রকার সামরিক সাহায্য করেনি তারা। ২০০৮ এর ডিসেম্বরে যখন সন্ত্রাসী ইহুদী ও তাদের সমগোত্রীয় ইসরাইলীরা ফিলিস্তিনে ব্যাপক গণহত্যা আরম্ভ করে, তখন সউদী ওয়াহাবী বাদশাহদের বোবা শয়তানের ন্যায় নিশ্চুপ ভূমিকা নিয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে সারাবিশ্বে। সেই নিন্দা প্রতিবাদ এখন গোপন কালো চুক্তি ফাসেঁর কারনে বিশ্ব মুসলিম মানসে জেগে উঠেছে ঈমানদীপ্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলার উত্তাল জোয়ার। দিকে দিকে তাকবীর হচ্ছে- ওয়াহাবীবাদ ইহুদীবাদ, নিপাত যাক নিপাত যাক! দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ, বিশ্ব মুসলিম জিন্দাবাদ, মুজাদ্দিদ আযম জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ!


http://www.al-ihsan.net